কুষ্টিয়ায় ভাতাভোগী বাছাইয়ের সময় স্ট্রোকে এক প্রতিবন্ধীর মৃত্যু !
সারা বাংলাদেশে উম্মুক্তভাবে যাচাইয়ের মাধ্যমে ভাতাভোগী বাছাই চলছে। তারই ধারাবাহিকতায় কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে উল্লেখিত ভাতাভোগী বাছাই সম্পন্ন হয়েছে। আজ ছিলো যদুবয়রা ইউনিয়নে ভাতাভোগী বাছাইয়ের নির্ধারিত দিন। কাক ডাকা ভোড় থেকে শুরু করে হতদরিদ্র অসহায় সমাজের নিপিড়িত মানুষ দলে দলে যদুবয়রা হাইস্কুল মাঠে জমায়েত হতে থাকে। আজ অনেক আশা বুকে নিয়ে একটু ভালো থাকার আশায় শারীরিক প্রতিবন্ধী আক্কাস শেখ (৭০) গিয়েছিলেন ভাতাভোগীদের কাতারে নাম লেখাতে কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি লাশ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এমনই খবর চাউর হয়েছে কুমারখালীতে। আজ ১৬ ফেব্রুয়ারী সোমবার আনুমানিক সকাল ১০ টার দিকে উপজেলার যদুবয়রা হাই স্কুল মাঠ প্রাঙ্গনে ঘটেছে এমন হৃদয়বিদারক ঘটনা।নিহত আক্কাস যদুবয়রা ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বরইচারা গ্রামের বাসিন্দা।
নিহতের পরিবার ও উপস্থিত জনতা জানায় আক্কাস শেখ একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী। দীর্ঘদিন ধরে তিনি এক হাতেই তার যাবতীয় প্রয়োজন মেটান। বয়সের ভারে পরিবারে বোঝা হয়ে আছেন তিনি।তাই শেষ বয়সে একটু স্বচ্ছলতার জন্য একটি প্রতিবন্ধী ভাতাকার্ড করার জন্য খুব সকাল থেকেই শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন।কিন্তু দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং ঘটনাস্থলেই মারা যান।
উপজেলা সমাজসেবা অফিস সুত্রে জানা যায়, কুমারখালী উপজেলায় পর্যায়ক্রমে সকল ইউনিয়নে উন্মুক্তভাবে বয়স্কভাতা, বিধবা ও স্বামী পরিত্যাক্তভাতা,দুঃস্থ মহিলা ও অস্বচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতাভোগী বাছাই -২০২০ এর কার্যক্রম শুরু হয়েছে।তারই ধারাবাহিকতায় সোমবার ছিল ৮ নং যদুবয়রা ইউনিয়নের ভাতাভোগী বাছাইয়ের দিন। এ বছর যদুবয়রা ইউনিয়নে বয়স্কভাতা ৬৯, বিধবাভাতা ৬৪ এবং প্রতিবন্ধী ভাতাভোগীর সংখ্যা নির্ধারন করা হয়েছে ২৩০ টি।
এ বিষয়ে যদুবয়রা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শরিফুল আলম জানান,খুব সুন্দর পরিবেশে ভাতা বাছাইয়ে কার্যক্রম সম্পূর্ণ হয়েছে।তবে অপ্রত্যাশিত ভাবে আক্কাস শেখ নামের একজন প্রতিবন্ধীর মৃত্যু হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজীবুল ইসলাম খান জানান,সকাল ১০ টায় আনুষ্ঠানিক অনুষ্ঠান শুরুর কথা থাকলেও নদী পার হয়ে একটু ঘুরে যেতে আমি সকাল ১০ টা ৪০ মিনিটের দিকে পৌঁছায়ে শুনি একজন মারা গেছে। স্ট্রোক বা হার্ট এ্যাটাকে মারা যেতে পারে বলে ধারণা করছেন তিনি। তিনি আরো জানান,অসুস্থদের আমরা আগে বাছাই করি এবং যেন তারা একটু ছাঁয়া জায়গায় দাঁড়াতে পারে সেজন্য ভেন্যু হিসেবে আমরা স্কুল গুলো বেঁছে নিই।